আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়ের ফজিলত
আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়ের ফজিলত |
আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আল্লাহর প্রিয় পাত্র হওয়ার জন্য এটি অত্যাবশ্যক। ধনী ব্যক্তির অর্থ-সম্পদ গরীব অসহায়
মানুষের মাঝে বন্টন এর মাধ্যমে সমাজে ভারসাম্য বজায় থাকে। ধনী গরিবে মধুর সম্পর্ক
স্থাপিত হয়। সামাজিক সম্পর্ক মজবুত হয়। প্রিয়নবী (সাঃ) বলেন
عَنْ فَاطِمَةَ
بِنْتِ قَيْسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي
الْمَالِ حَقًّا سِوَى الزَّكَاةِ "
ফাতিমা বিনতু কাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাকাত ছাড়াও (সম্পদশালীর)
সম্পদে অবশ্যই আরো প্রাপ্য আছে।
(জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৬৬০)
ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার দেয়ার বিষয়ে উৎসাহ
দিতে গিয়ে প্রিয় নবী বলেন,
"ليس المؤمن الذي يبيت شبعان وجاره طاوٍ"
যে তার প্রতিবেশী কে ক্ষুদার্থ রেখে পেট ভরে খাবার
খায় সে মুমিন নয়।
গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমেদ
অধ্যায়ঃ মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ৩৯০
আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করার বিষয়ে কুরআনের আয়াত
আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার ফজিলত সম্পর্কে কুরআনে
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
الٓـمّٓ ۚ ذٰلِکَ
الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚۖۛ فِیۡہِ ۚۛ ہُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ الَّذِیۡنَ
یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَیۡبِ وَیُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ ۙ
আলিফ লাম মীম। এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ
নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা
করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে। (সূরা বাকারা ২:১-৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন
لَنۡ تَنَالُوا
الۡبِرَّ حَتّٰی تُنۡفِقُوۡا مِمَّا تُحِبُّوۡنَ ۬ؕ وَمَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ
فَاِنَّ اللّٰہَ بِہٖ عَلِیۡمٌ
কস্মিণকালেও কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যদি তোমাদের প্রিয় বস্তু
থেকে তোমরা ব্যয় না কর। আর তোমরা যদি কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ তা জানেন। (সূরা আলে ইমরান ৩:৯২)
সূরা বাকারায় আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَاَنۡفِقُوۡا
فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَلَا تُلۡقُوۡا بِاَیۡدِیۡکُمۡ اِلَی التَّہۡلُکَۃِ ۚۖۛ
وَاَحۡسِنُوۡا ۚۛ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের
সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন। (সূরা আল বাকারা ২:১৯৫)
অন্য আরেকটা আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَیۡسَ عَلَیۡکَ
ہُدٰىہُمۡ وَلٰکِنَّ اللّٰہَ یَہۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَمَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ
فَلِاَنۡفُسِکُمۡ ؕ وَمَا تُنۡفِقُوۡنَ اِلَّا ابۡتِغَآءَ وَجۡہِ اللّٰہِ ؕ وَمَا
تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ یُّوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَاَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
তাদেরকে সৎপথে আনার দায় তোমার নয়। বরং আল্লাহ যাকে
ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যে মাল তোমরা ব্যয় কর, তা নিজ উপাকারার্থেই কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া
অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করো না। তোমরা যে, অর্থ ব্যয় করবে, তার পুরস্কার পুরোপুরি পেয়ে যাবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায়
করা হবে না। (সূরা আল বাকারা ২:২৭২)
আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,
لَیۡسَ الۡبِرَّ
اَنۡ تُوَلُّوۡا وُجُوۡہَکُمۡ قِبَلَ الۡمَشۡرِقِ وَالۡمَغۡرِبِ وَلٰکِنَّ
الۡبِرَّ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَالۡمَلٰٓئِکَۃِ
وَالۡکِتٰبِ وَالنَّبِیّٖنَ ۚ وَاٰتَی الۡمَالَ عَلٰی حُبِّہٖ ذَوِی الۡقُرۡبٰی
وَالۡیَتٰمٰی وَالۡمَسٰکِیۡنَ وَابۡنَ السَّبِیۡلِ ۙ وَالسَّآئِلِیۡنَ وَفِی
الرِّقَابِ ۚ وَاَقَامَ الصَّلٰوۃَ وَاٰتَی الزَّکٰوۃَ ۚ وَالۡمُوۡفُوۡنَ بِعَہۡدِہِمۡ
اِذَا عٰہَدُوۡا ۚ وَالصّٰبِرِیۡنَ فِی الۡبَاۡسَآءِ وَالضَّرَّآءِ وَحِیۡنَ
الۡبَاۡسِ ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ صَدَقُوۡا ؕ وَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُتَّقُوۡنَ
সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ
করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই
যে, ঈমান আনবে আল্লাহর
উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং
সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে
তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায
প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং
যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার। (সূরা আল বাকারা ২:১৭৭)
আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,
مَثَلُ الَّذِیۡنَ
یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ کَمَثَلِ حَبَّۃٍ اَنۡۢبَتَتۡ
سَبۡعَ سَنَابِلَ فِیۡ کُلِّ سُنۡۢبُلَۃٍ مِّائَۃُ حَبَّۃٍ ؕ وَاللّٰہُ یُضٰعِفُ
لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَاللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়।
প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ। (সূরা আল বাকারা ২:২৬১)
আল্লাহর পথে ব্যয়ে উৎসাহ দিয়ে আল্লাহ আরো বলেন,
یَسۡـَٔلُوۡنَکَ
مَاذَا یُنۡفِقُوۡنَ ۬ؕ قُلۡ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ مِّنۡ خَیۡرٍ فَلِلۡوَالِدَیۡنِ
وَالۡاَقۡرَبِیۡنَ وَالۡیَتٰمٰی وَالۡمَسٰکِیۡنِ وَابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ وَمَا
تَفۡعَلُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ فَاِنَّ اللّٰہَ بِہٖ عَلِیۡمٌ
তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও-যে বস্তুই তোমরা
ব্যয় কর, তা হবে পিতা-মাতার
জন্যে, আত্নীয়-আপনজনের জন্যে, এতীম-অনাথদের জন্যে, অসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের
জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ করবে, নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত ভালভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে।
(সূরা আল বাকারা ২:২১৫)
উত্তম দান প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَاَنۡفِقُوۡا
مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ
رَبِّ لَوۡلَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَاَکُنۡ
مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ
আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই
ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং
সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। (সূরা মুনাফিকুন ৬৩:১০)
আল্লাহর পথে ব্যয় করার উপকার
ক) হায়াত বৃদ্ধি করেঃ দান-সাদকা করার মাধ্যমে হায়াত বৃদ্ধি হয়। রাসূলুল্লাহ সাঃ
বলেন,
وَالصَّدَقةُ
تَمْنَعُ مِيْتَةَ السُّوْءِ وَالْبِرُّ زِيَادَةٌ فِى الْعُمُرِ
‘দান-সাদাকা অপমৃত্যু
দূরীভূত করে এবং সৎকাজ আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করে’।
গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১৩, বিবাহ (كتاب النكاح)
হাদিস নম্বরঃ ৩৩৫৯
খ) খারাপ মৃত্যু রোধ করেঃ দান খয়রাতের মাধ্যমে খারাপ মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
রাসূল (সাঃ) বলেন।
حَدَّثَنَا
عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
عِيسَى الْخَزَّازُ الْبَصْرِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ،
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِنَّ الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ وَتَدْفَعُ مِيتَةَ
السُّوءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
দান-খাইরাত আল্লাহ তা'আলার অসন্তুষ্টি কমিয়ে
দেয় এবং অপমানজনক মৃত্যু রোধ করে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৬৬৪
গ) বিপদ আপদ প্রতিহত করে
وَعَنْ عَلِيٍّ
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: «بَادِرُوا بِالصَّدَقَةِ فَإِنَّ الْبَلَاءَ لَا
يَتَخَطَّاهَا» . رَوَاهُ رَزِينٌ
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
আল্লাহর পথে খরচ করার ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে (অর্থাৎ মৃত্যু অথবা রোগ-শোক হবার আগে)। কারন দান সদাক্বাহ্
করলে বালা-মুসীবাত বৃদ্ধি পায় না (অর্থাৎ দান সদাক্বায় বালা-মুসীবাদ দূর হয়)।
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৮৮৭
ঘ) দানের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " السَّخِيُّ
قَرِيبٌ مِنَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْجَنَّةِ قَرِيبٌ مِنَ النَّاسِ بَعِيدٌ مِنَ
النَّارِ وَالْبَخِيلُ بَعِيدٌ مِنَ اللَّهِ بَعِيدٌ مِنَ الْجَنَّةِ بَعِيدٌ مِنَ
النَّاسِ قَرِيبٌ مِنَ النَّارِ وَلَجَاهِلٌ سَخِيٌّ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ
وَجَلَّ مِنْ عَابِدٍ بَخِيلٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنِ الأَعْرَجِ عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ مُحَمَّدٍ . وَقَدْ خُولِفَ
سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ فِي رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ
إِنَّمَا يُرْوَى عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَائِشَةَ شَيْءٌ مُرْسَلٌ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলার নিকটবর্তী, জান্নাতের নিকতবর্তী, মানুষের নিকটবর্তী এবং জাহান্নাম
হতে দূরবর্তী। কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলা হতে দূরবর্তী, জান্নাত হতে দূরবর্তী, মানুষের নিকট হতেও দূরবর্তী, কিন্তু জাহান্নামের নিকটবর্তী।
আল্লাহ্ তা‘আলার নিকটে কৃপণ আলেম ব্যক্তির চেয়ে মূর্খ দানশীল ব্যক্তি
বেশী প্রিয়।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৯৬১
ঙ) শতগুণ বেশি সওয়াব অর্জিত হয়
عَنْ خُرَيْمِ
بْنِ فَاتِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
«مَنْ أَنْفَقَ نَفَقَةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ كُتِبَتْ لَهُ بِسَبْعِ مِائَةِ
ضِعْفٍ»
খুযায়ম ইব্ন ফাতিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি আল্লাহ্র রাস্তায় কোন কিছু দান করবে, তার জন্য সাতশত গুণ সওয়াব লেখা হবে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১৮৬
চ) মৃত ব্যক্তি উপকৃত হয়
أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ ـ رضى الله عنه ـ تُوُفِّيَتْ أُمُّهُ
وَهْوَ غَائِبٌ عَنْهَا، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّي تُوُفِّيَتْ
وَأَنَا غَائِبٌ عَنْهَا، أَيَنْفَعُهَا شَىْءٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ بِهِ عَنْهَا
قَالَ " نَعَمْ ". قَالَ فَإِنِّي أُشْهِدُكَ أَنَّ حَائِطِي
الْمِخْرَافَ صَدَقَةٌ عَلَيْهَا.
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা‘দ ইব্নু ‘উবাদাহ (রাঃ) -এর মা মারা গেলেন এবং তিনি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন।
পরে বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল!
আমার মা আমার অনুপস্থিতিতে মারা যান। আমি যদি তাঁর পক্ষ থেকে কিছু সদকা করি, তাহলে কি তাঁর কোন উপকারে
আসবে?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ সা‘দ (রাঃ) বললেন, ‘তাহলে আমি আপনাকে সাক্ষী করছি আমার মিখরাফ্ নামক বাগানটি তাঁর
জন্য সদকা করলাম।’
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৭৫৬
ছ) কেয়ামতের দিন ছায়া হবে
وَعَنْ مَرْثَدِ
بْنِ عَبْدِ اللّهِ قَالَ: حَدَّثَنِىْ بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللّهِ ﷺ أَنَّه
سَمِعَ رَسُولَ اللّهِ ﷺ يَقُولُ: «إِنَّ ظِلَّ الْمُؤْمِنِ يَوْمَ الْقِيَامَة
صَدَقَتُه» . رَوَاهُ أَحْمَدُ
মারসাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কিছু সাহাবী আমাকে এ হাদীসটি
শুনিয়েছেন যে, তাঁরা রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কে এ কথা বলতে শুনেছেন, “ক্বিয়ামাতের দিন মু’মিনের ছায়া হবে তার দান সদাক্বাহ্”।
সহীহ আত্ তারগীব ৮৭২। মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৯২৫
জ) সর্বোত্তম দান
حَدَّثَنَا
أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الصَّدَقَةِ أَعْظَمُ أَجْرًا قَالَ
" أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيحٌ شَحِيحٌ، تَخْشَى الْفَقْرَ وَتَأْمُلُ
الْغِنَى، وَلاَ تُمْهِلُ حَتَّى إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ قُلْتَ لِفُلاَنٍ
كَذَا، وَلِفُلاَنٍ كَذَا، وَقَدْ كَانَ لِفُلاَنٍ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সাহাবী আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে
এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল!
কোন সদকার সওয়াব বেশি পাওয়া যায়? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সুস্থ ও কৃপণ অবস্থায় তোমার সদকা
করা যখন তুমি দারিদ্রের আশঙ্কা করবে ও ধনী হওয়ার আশা রাখবে। সদকা করতে এ পর্যন্ত দেরী
করবে না, যখন প্রাণবায়ু কন্ঠাগত
হবে, আর তুমি বলতে থাকবে, অমুকের জন্য এতটুকু, অমুকের জন্য এতটুকু, অথচ তা অমুকের জন্য হয়ে গেছে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৪১৯
অন্য হাদীসে রাসূল সাঃ বলেন,
وَعَنْ أَبِىْ
هُرَيْرَةَ قَالَ: يَا رَسُولَ اللّهِ أَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «جُهْدُ
الْمُقِلِّ وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন সদাক্বাহ্ বেশী উত্তম? তিনি বললেন, কম সম্পদশালীর বেশী (কষ্টশ্লিষ্ট
করে) সদাক্বাহ্। সদাক্বাহ্ দেয়া শুরু করবে তাদেরকে দিয়ে যাদের দেখাশুনা তোমার দায়িত্ব।
(আবূ দাঊদ)
ফুটনোটঃ
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৬৭৭, আহমাদ ৮৭০২, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৪৪৪, ইবনু হিব্বান ৩৩৪৬, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৫০৯, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৫৬৬, সহীহ আত্ তারগীব ৮৮২, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ১১১২।
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৯৩৮
ঝ) পরিবার-পরিজন ও নিকট আত্মীয়দের পেছনে ব্যয়
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دِينَارٌ
أَنْفَقْتَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدِينَارٌ أَنْفَقْتَهُ فِي رَقَبَةٍ
وَدِينَارٌ تَصَدَّقْتَ بِهِ عَلَى مِسْكِينٍ وَدِينَارٌ أَنْفَقْتَهُ عَلَى
أَهْلِكَ أَعْظَمُهَا أَجْرًا الَّذِي أَنْفَقْتَهُ عَلَى أَهْلِكَ "
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুলাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একটি দীনার তুমি আল্লাহর
পথে ব্যয় করলে, একটি দীনার গোলাম
আযাদ করার জন্য এবং একটি দীনার মিসকীনদেরকে দান করলে এবং আর একটি তোমার পরিবার-পরিজনের
জন্য ব্যয় করলে। এর মধ্যে (সাওয়াবের দিক থেকে) ওই দীনারটিই উত্তম যা তুমি পরিবারের
লোকদের জন্য ব্যয় করলে। (ই.ফা. ২১৮০, ই.সে. ২১৮২)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২২০১
অন্য হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِي
مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ فَقُلْتُ عَنْ النَّبِيِّ فَقَالَ عَنْ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَنْفَقَ الْمُسْلِمُ نَفَقَةً عَلٰى أَهْلِه„ وَهُوَ
يَحْتَسِبُهَا كَانَتْ لَه“ صَدَقَةً.
আবূ মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাবী বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলামঃ এটা কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে? তিনি বললেন, (হ্যাঁ) নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেছেনঃ সওয়াবের আশায় কোন মুসলিম যখন তার পরিবার-পরিজনের প্রতি ব্যয় করে, তা তার সদকা হিসাবে গণ্য হয়।
(মুসলিম ১২/১৪ হাঃ ১০০২, আহমাদ ১৭০৮১) (আ.প্র. ৪৯৫১, ই.ফা. ৪৮৪৭)
ফুটনোটঃ
[৩১] ধনী দানশীল ব্যক্তি তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত ধন আল্লাহর রাস্তায়
দান করে অনেক সওয়াব হাসিল করেন। কিন্তু একজন গরীব মুসলিম যিনি নিজের পরিবারের ভরণ পোষণে
ব্যস্ত থাকেন তিনি কীভাবে দানের সওয়াব পাবেন? আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন লোকের জন্য সুসংবাদ দিচ্ছেন
যে, তারা তাদের নিজেদের
পরিবারের ভরণ পোষণের সময় যদি এ নিয়ত রাখে যে, তারা আল্লাহর দেয়া খাদ্য খাবে আর তাঁরই ‘ইবাদাত করে তাঁরই বান্দা হয়ে
জীবন যাপন করবে আর তাদের এ খরচের জন্য আল্লাহর নিকট সওয়াব লাভের আশা করবে, তাহলে তারা তাদের এ ব্যয়ের
জন্য আল্লাহর নিকট হতে দান-খয়রাত করার সওয়াব হাসিল করবে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৩৫১
আল্লাহর পথে ব্যয় করার আদব
ক) বৈধ সম্পদ থেকে দান করা
یٰۤاَیُّہَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡفِقُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا کَسَبۡتُمۡ وَمِمَّاۤ
اَخۡرَجۡنَا لَکُمۡ مِّنَ الۡاَرۡضِ ۪ وَلَا تَیَمَّمُوا الۡخَبِیۡثَ مِنۡہُ
تُنۡفِقُوۡنَ وَلَسۡتُمۡ بِاٰخِذِیۡہِ اِلَّاۤ اَنۡ تُغۡمِضُوۡا فِیۡہِ ؕ
وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ حَمِیۡدٌ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং যা
আমি তোমাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয়
করতে মনস্থ করো না। কেননা,
তা তোমরা কখনও গ্রহণ
করবে না; তবে যদি তোমরা চোখ
বন্ধ করে নিয়ে নাও। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাব মুক্ত, প্রশংসিত। (সূরা আল বাকারা ২:২৬৭)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন,
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيُّهَا
النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ طَيِّبٌ لاَ يَقْبَلُ إِلاَّ طَيِّبًا وَإِنَّ اللَّهَ
أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ فَقَالَ { يَا أَيُّهَا
الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا
تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ}
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ্
তা’আলা তাঁর প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম
দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা
পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভালো কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত”। (সূরাহ্ আল মু’মিনূন ২৩:৫১)
(ই.ফা. ২২১৫, ই.সে.২২১৬)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২২৩৬
খ) প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ দান করা
أَبَا
أُمَامَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا ابْنَ
آدَمَ إِنَّكَ إِنْ تَبْذُلِ الْفَضْلَ خَيْرٌ لَكَ وَإِنْ تُمْسِكْهُ شَرٌّ لَكَ
وَلاَ تُلاَمُ عَلَى كَفَافٍ وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا
خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَشَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُكْنَى أَبَا عَمَّارٍ .
আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
হে আদম সন্তান! তোমার প্রয়োজনাতিরিক্ত সম্পদ যদি তুমি (সৎকাজে) খরচ করে ফেল তাহলে তা
তোমার জন্য কল্যাণকর। কিন্তু তুমি যদি তা গচ্ছিত রাখ তাহলে তা তোমার জন্য অকল্যাণকর।
তোমার প্রয়োজন পরিমান সম্পদ জমা রাখলে তাতে কোন দোষারোপ করা হবে না। আর তোমার পোষ্যদের
হতেই (দান-খাইরাত) আরম্ভ কর। নীচের হাত হতে উপরের হাত উত্তম।
সহীহ্ , ইরওয়া (৩/৩১৮), মুসলিম।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৪৩
গ) দান করে খোটা ও কষ্ট না দেয়া
یٰۤاَیُّہَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُبۡطِلُوۡا صَدَقٰتِکُمۡ بِالۡمَنِّ وَالۡاَذٰی ۙ
کَالَّذِیۡ یُنۡفِقُ مَالَہٗ رِئَآءَ النَّاسِ وَلَا یُؤۡمِنُ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ
الۡاٰخِرِ ؕ فَمَثَلُہٗ کَمَثَلِ صَفۡوَانٍ عَلَیۡہِ تُرَابٌ فَاَصَابَہٗ وَابِلٌ
فَتَرَکَہٗ صَلۡدًا ؕ لَا یَقۡدِرُوۡنَ عَلٰی شَیۡءٍ مِّمَّا کَسَبُوۡا ؕ
وَاللّٰہُ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡکٰفِرِیۡنَ
হে ঈমানদারগণ!তোমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং
কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান খয়রাত বরবাদ করো না সে ব্যক্তির মত যে নিজের ধন-সম্পদ লোক
দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না। অতএব, এ ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত একটি
মসৃণ পাথরের মত যার উপর কিছু মাটি পড়েছিল। অতঃপর এর উপর প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হলো, অনন্তর তাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার
করে দিল। তারা ঐ বস্তুর কোন সওয়াব পায় না, যা তারা উপার্জন করেছে। আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন
করেন না।
(সূরা আল বাকারা ২:২৬৪)
اَلَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ
اَمۡوَالَہُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ثُمَّ لَا یُتۡبِعُوۡنَ مَاۤ اَنۡفَقُوۡا
مَنًّا وَّلَاۤ اَذًی ۙ لَّہُمۡ اَجۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ۚ وَلَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ
وَلَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ
যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের
কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের
কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে
না। (সূরা আল বাকারা ২:২৬২)
উপসংহার
اِنَّ اللّٰہَ
اشۡتَرٰی مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَنۡفُسَہُمۡ وَاَمۡوَالَہُمۡ بِاَنَّ لَہُمُ
الۡجَنَّۃَ ؕ یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ فَیَقۡتُلُوۡنَ وَیُقۡتَلُوۡنَ ۟
وَعۡدًا عَلَیۡہِ حَقًّا فِی التَّوۡرٰىۃِ وَالۡاِنۡجِیۡلِ وَالۡقُرۡاٰنِ ؕ وَمَنۡ
اَوۡفٰی بِعَہۡدِہٖ مِنَ اللّٰہِ فَاسۡتَبۡشِرُوۡا بِبَیۡعِکُمُ الَّذِیۡ بَایَعۡتُمۡ
بِہٖ ؕ وَذٰلِکَ ہُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ
আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের
জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে
জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য
প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও
সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর
সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। (সূরা আত তাওবা ৯:১১১)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বৈধ সম্পদ উপার্জন
এবং সেই সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করার তৌফিক দান করুন আমিন।
No comments